ঝিনাইদহে যৌতুকের জন্য স্ত্রী রিনা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী রিয়াদ মুন্সিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম আযম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রিয়াদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাদহ গ্রামের সলেমান মুন্সির ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ নালে সদর উপজেলা মহিষাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার মেয়ে রিনা খাতুনের (২০) সঙ্গে রিয়াদ মুন্সির (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর রিয়াদ যৌতুকের জন্য রিনাকে নির্যাতন শুরু করে। ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাদাহ গ্রামের রিনা খাতুনকে কয়েকজন ব্যক্তি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রিনার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি কালে গলায় আঙ্গুলে ছাপ দেখতে পায়। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি মর্গে পাঠায়। রিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসে। এরপর স্বামী রিয়াদ মুন্সির ভয়ে রিনার স্বজনরা মামলা করতে ভয় পায়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে রিয়াদ মুন্সিকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এসআই ইয়াসিন আলী মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ মামলায় ১৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিচারে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম আযম আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ইত্তেফাক/বিএএফ