ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম রুহুল আমিনকে মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়েও তদন্ত শেষ করতে পারেনি। সোমবার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা মেডিকেলে রুহুল আমিনকে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সাঞ্জিত চন্দ্র দাস ও তার অনুসারীরা মারধর করে। এই ঘটনায় শনিবার ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ছাত্রলীগের গত কমিটির দুই সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুজ্জামান সৈকত ও তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের সাবেক সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওন।
তদন্ত কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে বলা হয়।
নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য শওকতুজ্জামান সৈকত ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমরা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে সময় বাড়াতে অনুরোধ করেছি। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারিনি অপারেটর ভালো না থাকার কারণে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন বলে জানান তিনি।’
তদন্ত কমিটির সদস্য আরেফিন সিদ্দিক সুজন বলেন, ‘মেডিকেলের মতো পাবলিক প্লেসের ঘটনা দুই দিনে তদন্ত করা কঠিন। এই কারণে সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সদস্যরা একদিন সময় বেশি চেয়েছি। তাদেরকে সময় দেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে লিফটে ওঠা নিয়ে ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ সভাপতি রুহুল আমিন ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের মধ্যে বাক বিতণ্ডাতা হয়। সঞ্জিতের ভাই এই ঘটনা তাকে জানালে সে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০-২৫জন নেতাকর্মী নিয়ে ভাইয়ের শাশুড়ির লাশের সামনে রুহুল আমিনকে মারধর করে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনশনের ঘোষণা দেন আহত রুহুল আমিন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইত্তেফাক/বিএএফ