বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সাফল্যের ৪৩তম বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে একাডেমি প্রাঙ্গণ নন্দনমঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী একাডেমির সচিব ও বিভিন্ন বিভাগীয় পরিচালক এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পতাকা উত্তোলন করে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এর পরে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৩নং গ্যালারিতে একাডেমির ৪৩ বছরের কার্যক্রমের প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে একাডেমির চারুকলা বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ, প্রশিক্ষণ বিভাগ, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ এবং প্রশাসন বিভাগ ৪৩ বছরের কার্যক্রম।
বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে একাডেমি প্রাঙ্গণ নন্দনমঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ‘অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।
সন্ধ্যা ৬টায় প্রথমেই স্বাগত নৃত্য, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন দীপা খন্দকার, কোলাজ (আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে, আগুনের পরশমণি, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়) আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-আলোচনা পর্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং ড. সন্জীদা খাতুন। আলোচনা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক মোস্তফা নুরুল ইসলামের উপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর পরে শিল্পী অনিক বোসের পরিচালনায় ১৫ সদস্যের একটি দল পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য ‘থিম রং’ এবং ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের’, দীপা খন্দকারের পরিচালনায় ‘তাকডুম তাকডুম’, ‘সোহাগ চাঁদ বদনী’ এবং ‘সোনার বান্দাইলা নাউ’ তিনটি সমবেত নৃত্য, একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুবীর নন্দী এবং সামিনা চৌধুরী, বাউল সংগীত শিল্পী জমসের আলী দেওয়ান এবং সাইদুর রহমান বয়াতী ও তার দল এবং সবশেষে কাওয়ালি পরিবেশন করবে সমীর কাওয়াল ও তার দল।