অভিনয়েই মনোযোগ তার এখন বেশি। যে কারণে অভিনয়ের বাইরে অন্য কোনো আড্ডায় তার দেখা মিলে না। শুটিংস্পট টু বাসা, বাসা টু শুটিংস্পট—এই হলো মেহজাবিনের প্রতিদিনের রুটিন। তার পূর্ণ মনোযোগ অভিনয়েই। যে কারণে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে মেহজাবিনের সাবলীল উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। অনেক সাধনা করেই মেহজাবিন অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। তাকে নিয়ে লিখেছেন অভি মঈনুদ্দীন
একটি রিয়েলিটি শো থেকে মেহজাবিনের মিডিয়াতে আগমন হলেও অভিনয়ে নিজেকে এখন তিনি এতটাই সিদ্ধহস্ত করেছেন যে, অভিনেত্রী হিসেবেই তার পরিচয়টা সমীচীন। ভালো ভালো গল্পের ভালো ভালো চরিত্রে মেহজাবিনের অনবদ্য উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করে। তাই অনেকের কাছে প্রিয় একটি নাম মেহজাবিন চৌধুরী। আগামী ঈদ উপলক্ষে একই পরিচালকের দুটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। মিজানুর রহমান আরিয়ানের নির্দেশনায় ‘ব্যাচ ২৭ :দ্য লাস্ট পেজ’ এবং ‘বড় ছেলে’ টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী। এবারই প্রথম মেহজাবিন আরিয়ানের নির্দেশনায় অভিনয় করেছেন। মেহজাবিন বলেন, ‘আরিয়ান ভাইয়ার স্টোরি টেলিং আমার কাছে দারুণ লেগেছে। তাছাড়া তার কাজ এতটাই গোছানো যে কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি নতুন এই দুটি কাজ নিয়ে খুবই আশাবাদী।’ এছাড়া এরইমধ্যে তিনি শেষ করেছেন ইমনের বিপরীতে মাকসুদুর রহমান বিশালের নির্দেশনায় আরও একটি নাটকের কাজ। আজ থেকে তিনি তানিয়া আহমেদের নির্দেশনায় তৌসিফ ও সিয়ামের বিপরীতে আরও একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিবেন। এদিকে গেল ২৮ জুলাই এনটিভিতে প্রচার শেষ হয়েছে মেহজাবিন অভিনীত আসিফ ইকবাল জুয়েল পরিচালিত ‘বন্ধুর বন্ধুর জন্য’ নাটকটি। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নাঈম ও ইরফান সাজ্জাদ। নাটকটিতে মেহজাবিন অনবদ্য অভিনয় করেছেন। হয়েছেন প্রশংসিত। মেহজাবিন বলেন, ‘গল্প ভালো হলে কাজ করতে যেমন ভালো লাগে, প্রচারের পর সাড়া পেলেও ভীষণ ভালো লাগে। কাজের প্রতি উত্সাহও বেড়ে যায়।’ অনেক কথার মূল কথায় মেহজাবিনের কাছে জানতে চাই, সহশিল্পী অনেকেই বিয়ে করেছেন, করছেন, আপনি কবে বিয়ে করছেন? প্রশ্ন শুনে অনেকটা সময় হাসলেন তিনি। তারপর একটু সিরিয়াস হয়েই বললেন, ‘সত্যি বলতে কী, ২০২০-এর আগে তো বিয়ে নিয়ে আমার নিজের এবং আমার পরিবারের কোনো পরিকল্পনাই নেই। তাই বিয়ে নিয়ে তেমন ভাবনা নেই। তাছাড়া আমি মনে করি আমার এখন কাজের সময়। অভিনয়টা এখন আমার কাছে অনেক ভালোলাগার, ভালোবাসার। আগামী তিন-চারটা বছর মন দিয়ে অভিনয় করতে চাই। কিছু ভালো ভালো কাজ করতে চাই, যেখানে দর্শক আমার সেরাটা খুঁজে পাবেন।’ আবারও প্রশ্ন রাখি, সহকর্মী কেউ কী আপনার প্রেমে পড়েনি কিংবা প্রেমের প্রস্তাব দেয়নি? হেসে জবাব দিলেন মেহজাবিন। বললেন, ‘আমি যে সময়টাতে মিডিয়াতে কাজ করতে এসেছি, তখন বলা যায় আমি বেশ ছোটই ছিলাম। যে কারণে আমি যাদের বিপরীতে কাজ করেছি, প্রত্যেকেই আমাকে ছোট বোনের মতো স্নেহ করেছেন। কিন্তু তাদের চোখে আমি এখনো সেই ছোট বোনটিই রয়ে গেছি। যে কারণে সহকর্মীদের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব আসেনি।’ পরিবারের সব ভাইবোনদের বড় আপনি। সবার বড় হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? জবাবে মেহজাবিন বলেন, ‘পরিবারের প্রতি কিংবা আমার ছোট ছোট ভাইবোনদের প্রতি আমি কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারছি, সেটা আসলে পরিবার বা আমার ভাইবোনই ভালো বলতে পারবে। তবে আমি চেষ্টা করি, আমার সাধ্যের মধ্যে সবার জন্য যতটুকু করা যায়। কারণ আমার যা কিছু সব তো আমার পরিবারের জন্যই।’ মিডিয়ার বন্ধু আর এর বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগটা কেমন আপনার? ‘সত্যি বলতে কী, যখন আমরা বন্ধুরা আড্ডা দিই তখন কে মিডিয়ার, কে মিডিয়ার বাইরের, সে বিষয়টা আসলে তখন আর মাথায় থাকে না। মন খুলে আড্ডা দিই আমরা। একজন সত্যিকারের বন্ধু জীবনের জন্য আশীর্বাদ।’
ছবি :মোহসীন আহমেদ কাওছার