সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী
আইসিটি শিক্ষক
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
শিক্ষার্থীকে মনোযোগী করার ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল কনটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে সম্পূর্ণ মনোযোগী করার জন্য শিক্ষককে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের পাশাপাশি বাস্তব ও অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক উপকরণও প্রয়োজন হয় কারণ শ্রেণিকক্ষে পাঠের সকল বিষয়বস্তুই মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাহায্যে উপস্থাপন সম্ভব হয় না। আমরা সাধারণত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি বিষয়ের মডেল কনটেন্ট তৈরিসহ ক্যারিয়ার শিক্ষা, শারিরীক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং গণিত বিষয়েরও কনটেন্ট তৈরি করে থাকি। কনটেন্ট প্রস্তুত করার পূর্বে সকল ডিজিটাল উপকরণ যথাযথ আছে কিনা, কনটেন্টটির সকল পর্ব পাঠের বিষয়বস্তু কভার করে কিনা দেখে এবং বাস্তব উপকরণ তৈরি বা সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নিতে হয়। আমার রুটিনে থাকা সকল ক্লাসই ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে নিয়ে থাকি। ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণের কৌশল হলো বাস্তবতার সাথে মিল রেখে পাঠের বিষয়বস্তুকে মাল্টিমিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশের প্রচেষ্টা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান রাখা। এবারের জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয় মার্চ মাস থেকে। প্রথমে সারাদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার ৩’শ জন, পরে বিভাগীয় পর্যায় ও জেলা পর্যায় থেকে উত্তীর্ণ হয় ২’শ ৪৫ জন, সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হন ৩৫ জন। এ প্রতিযোগীতায় সেরা ১৫ জনের মধ্যে আমার অবস্থান ষষ্ঠ । ৩৫ জন প্রতিযোগী শিক্ষক থেকে বিচারকদের রায়ে সেরা শিক্ষকদের তালিকা করা হয়। প্রতিযোগিতায় আমার কনটেন্ট তৈরির বিষয় ছিল ‘গণিত’। যদিও আমি আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক। অষ্টম শ্রেণির গণিত বিষয়ের নবম অধ্যায়ের পিথাগোরাসের উপপাদ্যের বিকল্প প্রমাণ (বীজগণিতের সাহায্যে) ছিল আমার বিষয়। ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে আমাকে তা উপস্থাপন করতে হয়েছে। উল্লেখ্য এটুআই প্রজেক্টের প্রথম পাইলটিং প্রশিক্ষণে ২০১০ সালের মে মাসে প্রথম ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির সূচনা করি, যা আজও বহমান।
০