g দিনাজপুর অফিস
সাম্প্রতিককালে শত বছরের ভয়াল বন্যায় বীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং মোহনপুর ইউনিয়নের আত্রাই নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে কাশিপুর গ্রামের শিয়ালডাঙ্গা গ্রামসহ ৮/১০টি গ্রামের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
ওই এলাকায় সরজমিন ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপে জানা যায়, সমপ্রতি বয়ে যাওয়া বন্যায় আত্রাই নদীর তীর ওয়াপদা এলএলপি স্টেশনের সংলগ্ন ক্যানেলসহ রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভাঙার ফলে প্রবলবেগে পানি প্রবেশ করতে থাকে ৮/১০টি গ্রামে। পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে যায় এলাকার কাঁচা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানির সঙ্গে বালু প্রবেশ করে এলাকার কৃষি ও ফসলী জমির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলদ/বনজ বাগান বালুচরে পরিণত হয়। এছাড়াও অনেক এলাকায় গভীর খাল ও গর্তের সৃষ্টি হয়।
কাশিপুর (শিয়ালডাঙ্গা) কবি নুরুল আমীন (কেএনএ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা খাতুন জানান, তার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিও ভেঙে যাওয়ায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এলাকার সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এই এলাকায় পরিদর্শন করেননি। এছাড়াও প্রশাসনের কোনো লোকজন এতে গুরুত্ব দেননি। এছাড়াও একমাত্র গুচ্ছ গ্রামের সড়কটি প্রায় এক হাজার মিটার কাঁচা রাস্তা ভেঙে ছোট নদীতে পরিণত হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে একটি সরু নদী জমির মধ্যে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এতে করে ওই জমির আশ-পাশের প্রায় ৫০টি আম গাছসহ নতুন একশটি চারা গাছ বিনষ্ট হয়েছে। এখনো মানুষজন ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে না পারার কারণে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও সম্ভুগা জালিয়াপাড়া, মোনহনপুর, গুচ্ছ গ্রামসহ ১০টি গ্রামের লোক উপজেলা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন জমির ভেতর দিয়ে পায়ে হাঁটা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে কৃষি পণ্য ও ট্রাক্টর চলাচল একেবারে বন্ধ হয়েছে। কৃষকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়াও এলাকার আরও বহু সড়ক ভেঙে যাওয়ায় শিয়ালডাঙ্গা গুচ্ছ গ্রামসহ ৮/১০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
এলাকার লোকজন দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাওয়া সড়কগুলো মেরামত করে তাদের চলাচলে ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও কেএনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমস্যাটির দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।