যাদের মাথায় উকুন আছে তাদের জন্য বেশ একটা বড় ধরনের দুঃসংবাদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। এক সময় উকুন নাশক ওষুধ বা এন্টিলাইস শ্যাম্পু যেখানে প্রায় শতভাগ কাজ করতো এখন সেখানে উকুন নাশক শ্যাম্পু কাজ করছে মাত্র শতকরা ২০ ভাগ ক্ষেত্রে। বিগত প্রায় ৩৫/৪০ বছরে এন্টিলাইস মেডিসিন রেজিস্ট্যান্স হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ১৯৪৫ সালের দিকে ন্যাচারাল পাইরেথ্রিন এবং ১৯৮০ দিকে তৈরি হয় সিনথেটিক পাইরেথ্রিন। এ ব্যাপারে ম্যাসাসুয়েটস ইউনিভার্সিটির এনভায়রনমেন্টাল টক্সিকোলজি এবং কেমিস্ট্রির অধ্যাপক এবং ম্যাসাসুয়েটস পেস্টিলাইড এনালাইসিস ল্যাবরেটরি বিশেষজ্ঞ ড. ক্লার্ক উল্লেখ করেছেন, এন্টিলাইস শ্যাম্পু বা লোশন নর্থ আমেরিকায় যেখানে প্রায় শতভাগ কাজ করতো এখন পাইরেথ্রিন রেজিস্ট্যান্স হওয়ার কারণে মাথার উকুন সব সহজে মরছে না। আর এই উকুনের শিকার হচ্ছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যারা আক্রান্তদের পাশে বসছে। সম্প্রতি একটি ইউকে স্ট্যাডিতে বলা হয়েছে, এক ধরনের চিরুনী ব্যবহার করে মাথার চুলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা উকুন বের করে নিধনই সবচাইতে ভালো পন্থা, ওষুধ বা এন্টিলাইস শ্যাম্পু নয়।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ