বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিশ্ববাণিজ্যে সার্কভুক্ত দেশসমূহের অবদান কম। বাংলাদেশ চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম) যোগাযোগ স্থাপন হলে এই বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। বিসিআইএম এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক সুবিধা সৃষ্টি করবে।
গতকাল বুধবার ঢাকায় সাম্যবাদী দল আয়োজিত ‘বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর : দক্ষিণ এশিয়ায় সংহতিকরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গত বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর রপ্তানি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। বিসিআইএম কার্যকর হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরো অনেক বেড়ে যাবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে। বিসিআইএম বাস্তবায়নের ফলে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তিতে চীনের অবস্থান দ্বিতীয় এবং ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এ দুটি দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির কারণেই এ দুটি দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারত ও চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। বিসিআইএম কার্যকর হলে এ বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিসিআইএম কার্যকর হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হবে এবং বাংলাদেশ ব্যবসায়িকভাবে উপকৃত হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। চীন ও ভারতের মতো বৃহত্ বাণিজ্য সমৃদ্ধ দেশের সাথে সংযুক্তির ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিসিআইএম কার্যকর হলে এ অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ও নতুন বিনিয়োগের সূচনা হবে। বাণিজ্য, এনার্জি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। আঞ্চলিকায়ন জোরদার করতে হবে, এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াস, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী, এফবিসিসিআই সভাপতি ও বিসিআইএম বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারের প্রেসিডেন্ট গোলাম দস্তগীর গাজী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।