g ডা. মোড়ল নজরুল ইসলাম
ব্লু হোয়েলস গেমস বা ‘নীল তিমি’ খেলার অপর নাম সুইসাইড গেমস। কারণ ইন্টারনেট ভিত্তিক এই নীল তিমি গেমসে-অংশ গ্রহণকারীদের ধাপে ধাপে এগোতে হয়। আর এর জন্য রয়েছে একটা প্ররোচনা গ্রুপ। যারা একজন খেলোয়াড়কে ৫০তম দিনে নিয়ে যায়। আর এই ৫০তম দিনে খেলোয়াড় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে খেলার পরিসমাপ্তি ঘটায়। এটা হচ্ছে সংক্ষেপে এই ভয়ঙ্কর ‘নীল তিমি’ গেমস-এর পরিণতি। কিভাবে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের এই সুইসাইড গেমস থেকে নিবৃত্ত করা যায় এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই এখন ভাবতে শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে ব্রিটিশ পুলিশ অভিভাবক ও পিতা-মাতাদের সন্তানের দৈনন্দিন চলা-ফেরা ও কাজ-কর্ম সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি ছেলে-মেয়েরা যাতে এধরনের ভয়ঙ্কর ইন্টারনেট ভিত্তিক খেলা থেকে বিরত থাকে তার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে বলেছেন। তবে আশার কথা এ বিষয়টি নিয়ে পিতা-মাতা যথেষ্ট সচেতন হচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভয়ঙ্কর নীল তিমি গেমস-এ শিশু-কিশোরদের দুর্ভাগ্যজনক জীবনহানির ঘটনা ঘটছে। এব্যাপারে অনেক দেশেই গুগল, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, মাইক্রোসফট, ইয়াহুসহ বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্লু হোয়েল-এর মতো লিংকসমূহ বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ করেছে। এছাড়া এধরনের সুইসাইড গেমস-এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ছেলে-মেয়েদের সচেতন করার কথাও বলছেন অনেকে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শিশু বিষয়ক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ‘নীল তিমি’ নামের ভয়ঙ্কর গেমস থেকে কিভাবে কোমলমতি শিশু-কিশোররা দূরে থাকতে পারে তার জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। আমাদের দেশেও এই ভয়ঙ্কর ব্লু হোয়েল গেমস রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ