শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী কর্ণঝোড়া পাহাড়ি এলাকা এখন করল্লার পাহাড় নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১০/১২ ট্রাক করল্লা দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। এ পাহাড়ি এলাকার কয়েক হাজার চাষি করল্লা আবাদের উপরই নির্ভরশীল।
শ্রীবরদী উপজেলার সিঙ্গবরুনা ইউনিয়নের কর্ণঝোড়া পাহাড়ি এলাকার মেঘাদল, বাঁশকুড়া, হারিয়াকোনা, আওপাড়া, করইতলা, দলগাঁও, ঝুলগাঁও, ব্যাঙেরকোনা, রাজার পাহাড়, ডুমুরতলা গ্রামের চাষিরা ব্যাপকভাবে করল্লার আবাদ করছেন। তাদের উত্পাদিত করল্লা শয়তান বাজার, মেঘাদল চৌরাস্তা, ঝুলগাঁও প্রভৃতি গ্রামীণ বাজার থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়।
মেঘাদল চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যাম বাজার ও গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার কয়েকজন পাইকার জানান, করল্লার মৌসুমে এ এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে করল্লাসহ অন্যান্য সবজি সংগ্রহ করে ট্রাকযোগে ঢাকার আড়তে পাঠান। প্রতিটি ট্রাকে ৮০ মণ পর্যন্ত করল্লা পাঠানো যায়। বর্তমানে তারা প্রতি মণ করল্লা প্রকার ভেদে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩শ’ টাকায় কিনছেন।
মেঘাদল গ্রামের করল্লা চাষি শহীদুল ইসলাম জানান, তারা পানি জমে না এমন পাহাড়ি ঢাল ও উঁচু ভূমিতে করল্লাসহ বর্ষাকালীন অন্যান্য সবজি আবাদ করেন। এবার তিনি ১ একর জমিতে করল্লার আবাদ করেছেন। এতে তার ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত এ আবাদ থেকে ১ লাখ টাকার করল্লা বিক্রি করেছেন। পুরো ভাদ্র মাস জুড়ে আরো করল্লা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান।