কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জ জেলার সর্ববৃহত্ পাটের মোকাম কটিয়াদী বাজারে পাটের দাম কমে গেছে। গত এক মাসে প্রকারভেদে প্রতি মণ পাটে ২শ’ টাকা কমেছে। বিভিন্ন জুট মিল এবং রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের পাটের কিছু চাহিদা থাকলেও বাজারে নিম্নমানের পাটের কোনো ক্রেতা নেই। প্রতিবছর কটিয়াদী বাজারে প্রায় ৩ লাখ মণ পাট বেচাকেনা হয়ে থাকলেও ক্রেতা ও বাজার কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, উপজেলায় এ বছর প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে এবং পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও বিভিন্ন মোকাম থেকে কটিয়াদী বাজারে প্রতিদিন শত শত মণ পাট আমদানি হচ্ছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিমণ সুতি পাট ১৩-১৪শ টাকা দরে, মেছতা ১৫-১৬শ’ টাকা দরে এবং তোষা প্রতিমণ ১৬-১৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত একমাসের ব্যবধানে প্রতিমণে ২শ’ টাকা কমেছে গেছে। কটিয়াদী বাজারে এ বছর বিজেএমসি এবং বেসরকারি মিলের কোন পাট ক্রয় কেন্দ্র নেই। ব্যবসায়ীরা পাট মজুদ করে বসে আসে। ক্রেতা না থাকায় পাট বিক্রি করতে পারছে না। ফলে বাজারও নিম্নগতি। এদিকে কিছু সচ্ছল কৃষক বেশিদামে পাট বিক্রির আশায় নিজ ঘরে মজুদ করে রেখেছেন তারাও এখন হতাশায় নিমজ্জিত। মৌসুমের শুরুতেই যে সব ব্যবসায়ী চড়াদামে পাট ক্রয় করে মজুদ করেছেন বর্তমানে তাদেরও মাথায় হাত।
কটিয়াদী বাজারের ব্যবসায়ী অনাথ বন্ধু সাহা ও শিবু প্রসাদ বণিক জানান, জুট মিলগুলো নগদ টাকায় পাট ক্রয় করছে না। রপ্তানিকারকরা নগদ টাকায় কিছু উন্নতমানের পাট ক্রয় করলেও নিম্নমানের পাটের কোনো চাহিদা নেই। ফলে মজুদকৃত নিম্নমানের পাট নিয়ে হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এভাবে পাটের বাজার উঠানামা করলে কৃষক এবং ব্যবসায়ী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে কৃষক পাট উত্পাদনে নিরুত্সাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।