সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা
আলম সাব্বির, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
তাহিরপুর উপজেলার বাদঘাট ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা লাউড়েরগড় এলাকার কৃষকেরা ধানের মূল্য কম থাকায় আখ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সেইসাথে পেয়েছেন সাফল্যও। দেশি পদ্ধতিতে আখচাষ ও নিজেরাই এর রস থেকে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে সাফল্য এনেছেন তারা।
সম্প্রতি দেশের অর্থনৈতিক সংকটে চিনিকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে দেশীয় পদ্ধতিতে নিজ হাতে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে সাফল্য পেয়েছে এ অঞ্চলের আখচাষিরা। সেইসাথে নিজেরা পেয়েছে আর্থিক সমৃদ্ধি। প্রতিবিঘা জমিতে মাত্র দুই হাজার টাকা খরচ করে আখের চারা রোপণ করে সামান্য পরিচর্যা করলেই ছয় মাস পর হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ আখ। আখের রস থেকে গুড় বানিয়ে বিক্রি করলে প্রতি বিঘায় আয় হয় কমপক্ষে ১২ হতে ১৫ হাজার টাকা যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় তিন গুণ বেশি।
আখ চাষে সফল কৃষক আব্দুল বাতেন বলেন, আখের গোড়ার অংশ থেকে পরপর দুই বছর কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই একবার রোপণ করা আখ একটানা তিন বছর সামান্য পরিচর্যা করলেই অন্যান্য খরচ ছাড়া আয় হয় বিঘা প্রতি ১০ হতে ১২ হাজার টাকা। আখের রস দিয়ে গুড় ও এর ছোবড়া দিয়ে জ্বালানি এবং আখের পাতা ঘরের ছাউনি হিসেবে ব্যবহূত হয়ে থাকে। এছাড়া আখের উপরের অংশ চারা হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে চড়া মূল্যে।
তাহিরপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুল হক বিধু বলেন, বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য কম থাকায় আখ চাষের প্রতি ঝুঁকছে সীমান্ত অঞ্চলের চাষিরা।