একাত্তরে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে বিশাল ভূ-সম্পত্তি ও সহায়-সম্পদ রেখে ভারতে চলে যান কচুয়া উপজেলার পাথৈর গ্রামের অধিবাসী জমিদার সুরেশ সেন চৌধুরী ও তাঁর পরিবার। জমিদার সুরেশ সেন চৌধুরীর বংশের কেউ এখন আর ওই জমিদার বাড়িতে নেই। জমিদারের পরিত্যক্ত এই ভবনটিতে ১৯৮৩ সাল থেকে চলছে কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ ভবনটির সংস্কার কিংবা মেরামত না হওয়ায় বর্তমানে ভবনটির ছাদ ও দেয়ালে বড় রকমের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ছাদের আস্তর খসে পড়ে ভেসে উঠেছে রড। এছাড়াও ভবনের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে অনেক। পাথৈর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে জমিদার ভবনটির দরজা-জানালা ভেঙে পড়েছে, ছাদ ও দেয়ালে বড় ফাটল সৃষ্টি, নেই বিদ্যুত্ ব্যবস্থা, প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে আস্তর। সবমিলিয়ে এটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সম্পূর্ণ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছে। এছাড়া ছাদের ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে ফাইল-পত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টির সময়ে প্লাস্টিকের কাগজ মুড়িয়ে বিনষ্টের হাত থেকে ফাইল-পত্র রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়।
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন জানান, নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে। বিশেষ করে বিদ্যুত্ ব্যবস্থা না থাকায় তথ্য সেবা ও অনলাইন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারছি না। জরাজীর্ণ এ অফিস ভবনটিতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার আতঙ্কে দাপ্তরিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ভূমি অফিসের সমস্যা সম্পর্কে গতবছরের ২০ মার্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।