পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা
বেপরোয়া লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে পাইকগাছার মানুষ। বিদ্যুত্ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ পেলেও নজরে আসছে না কর্মকর্তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে আশপাশ এলাকাতে লোডশেডিং অনেক কম। অথচ চিংড়িখ্যাত পাইকগাছাতে যে পরিমাণ বিদ্যুত্ প্রয়োজন তার তুলনায় বার আনাও পাওয়া যায় না। এ বিষয় খুলনা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন যে, যার এলাকা তার দায়িত্ব কোনো অঞ্চল কতটুকু বিদ্যুত্ পাবে।
এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলের শিকার শতকারা ৮৫ জন গ্রাহক। এ বিদ্যুত্ বিলের ব্যাপারে বলা হয় যে বিল পরিশোধ করুন পরে দেখা হবে। এ বিষয়ে পাইকগাছার কপিলমুনি বিদ্যুত্ কর্মকর্তা নুর আলম বলেন, পারলে উপরে জানান। পারেন তো লেখেন কোনো কাজ হবে না।
জানা যায়, প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত্ যায় ৬-৭ বার। সম্প্রতি এলাকাটিতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। মিল কল-কারখানাসহ বিদ্যুত্চালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লাটে উঠতে বসেছে।
বরফ মিলগুলোতে চাহিদার তুলনায় বরফ উত্পাদন না হওয়ায় মত্স্য বাজারজাতকরণে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন অসংখ্য ব্যবসায়ী। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনতি বিলম্বে বিদ্যুতের এই কর্তাকে অন্যত্রে বদলি করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।