ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জহুরা বেগম (৬০) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। নিহত জহুরা গোবিন্দপুর গ্রামের মান্নান মাতুব্বরের স্ত্রী।
জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শের আলী খানের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার খাঁর বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের কারণে শের আলীর এক সমর্থক যুবলীগ নেতা কানাই মাতুব্বর কয়েক মাস ধরে এলাকা ছাড়া। সোমবার রাতে কানাই মাতুব্বর এলাকায় আসলে তাকে ধাওয়া দেয় দেলোয়ারের লোকজন। এ সময় কানাইয়ের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এরই জের ধরে পরের দিন মঙ্গলবার সকালে গোবিন্দপুর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। এতে দেলোয়ারের সমর্থক মান্নানের স্ত্রী জহুরা নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় অন্তত ১০-১২টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার (ওসি তদন্ত) মো. ফায়েকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।