জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় পুলিশের মারপিটে আসামির চাচার মৃত্যুর ঘটনায় কালাই থানার বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন নিহত সাইদুল ইসলামের পিতা কাজেম আলী। অপর দিকে, এই ঘটনায় কালাইতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত সাইদুল ইসলামের পিতা কাজেম আলী, শ্বশুর মোজাম্মেল হক অভিযোগ করেন, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত মামলা দায়ের করার জন্য থানায় অবস্থান করলেও মামলা গ্রহণ করা হয়নি। এ সময় কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলনও থানায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানান। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে সোমবার ভোরে পুলিশের মারপিটে অভিযুক্ত আসামির চাচা সাইদুল ইসলাম (৩৪) নিহত হন। এ ঘটনায় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জয়পুরহাট থেকে আসা দাঙ্গা পুলিশ ৫৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১২ জন আহত হন। এ ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত এসআই রফিকুল ইসলাম রফিক, এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ, কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম এবং কনস্টেবল ফারুক হোসেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহেল বাকীকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের মারপিটে নিহত সাইদুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।