পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ার একদিন পরই ফের দর পতন হয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে। তবে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। প্রান্তিকের ফলাফলের প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শেয়ারের দর উঠানামা করছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১২ টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। গতকাল জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি টাকা। আর ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে লেনদেন হয়েছে ১১৩ কোটি টাকা। এ দুই খাত মিলে লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি টাকা। যা ডিএসই’র মোট লেনদেনের ৩৫ ভাগ।
তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) ৬৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএস-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেশি। লেনদেনকৃত ৩০২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ২০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ারের। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ১২ লাখ টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ৬ কোটি টাকা বেশি। লেনদেনকৃত ২২৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রি, হস্তান্তর, বন্ধক ও উপহার দেয়ার নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। অর্থাত্ পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত এ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার লেনদেন ও হস্তান্তর করতে পারবেন। এ নিয়ে এ স্থগিতাদেশ চারবার বাড়ানো হলো। জানা গেছে, রাইট শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি করায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে রাইট শেয়ার সংক্রান্ত দাখিল করা কাগজপত্র জাল হওয়ায় আরএন স্পিনিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসইসি। বিএসইসির মামলা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এরই জবাবে চতুর্থ বারের মতো বিএসইসির নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।