সাভারে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস এ অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে সাভারের বাইশ মাইল এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠান দুটিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের এ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন শাখাটি আলাদা না হওয়ায় এবং সেখানকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করায় তা সিলগালা করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব হেড কোয়াটার্স, র্যাব-৪, সাভার উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারোয়ার আলমকে সহযোগীতা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাসেল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার ঘোষ।
গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে এ অভিযানের সময় দেখা যায়, কাঁচামালের গুদামের দেওয়াল থেকে চুন খসে পড়ছে। কেমিক্যালের বোতলে কোন মেয়াদ উল্লেখ নেই, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কোন রেজিস্ট্রার নেই, মেয়াদ উত্তীর্ণ রাসায়নিক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করার নমুনা পাওয়া যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারোয়ার আলম বলেন, দেশের ৯৫ ভাগ বেসরকারী হাসপাতালে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যাথিডিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আজ আমি এখানে এসে তাদের কার্যক্রম দেখে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি। তাদের এ্যান্টিবায়োটিক শাখাটিকে পৃথক করার জন্য ৬ মাস আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা সেটি অমান্য করেছে। এছাড়া ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে। যা থেকে বুঝা যাচ্ছে এসব ঔষধ খেয়ে প্রকৃতপক্ষে রোগীদের উপকার হচ্ছে না।
অভিযান চলাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম গোলাম কিবরিয়া, ঔষধ পরিদর্শক নাহিন আল আলম, তাহমিদ জামিল, আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জাবেদ মাসুদ প্রমুখ।
ইত্তেফাক/নূহু